"ধীরে ধীরে মনের কোনে বাসা বাঁধছে ভয়"

IMG20210427181620.jpg

প্রিয়,
পাঠকগণ,

কেমন আছেন আপনারা সবাই?সকলে নিশ্চয় সাবধানে আছেন।

বর্তমান পরিস্থিতি দেখে সত্যিই এখন ভয় বাসা বাঁধছে মনে। দিনে দিনে অবস্থা হয়ে উঠছে আরও ভয়ংকর।চারিদিকে হাহাকার।স্বজন হারানোর আর্তনাদ।বিশ্বাস করুন এইসব কিছু মনকে বিষাদময় করে তুলছে।

প্রতিদিন মনের জোর বাড়ানোর চেষ্টা একটু একটু করে ক্ষীণ হয়ে আসছে। না চাইতেও মনে ভর করছে একরাশ নিরাশা।সত্যিই কি এই পরিস্থিতির পরিবর্তন সম্ভব হবে? এই প্রশ্নটাই সকলের মনে ঘুরছে।

কাল থেকে লকডাউনে আর ও কড়াকড়ি জারি হতে চলেছে।যদিও জানিনা তাতে কতটা পরিবর্তন সম্ভব হবে। তবুও সরকারের তরফ থেকে জারি করা এই নির্দেশিকা পালন করতে আমরা বাধ্য।

কিন্তু বিশ্বাস করুন আমার মনের কোনো এক কোণ থেকে আমি যেন এই লকডাউনের প্রক্রিয়াকে সমর্থন জানাতে পারিনা। হয়তো সংক্রমণ কিছুটা কমবে,কিন্তু বিশ্বাস করুণ উল্টো দিকে অনেক সাধারণ মানুষের জীবনে নেমে আসবে চরম দুর্গতি।

দিন আনা দিন খাওয়া মানুষ গুলো দুবেলা খাবার জোগাড় করতে হিমশিম খাবে এই পরিস্থিতিতে। তাদের কাছে যেন করোনা ভাইরাসের থেকেও বেশী ভয়ংকর এই লকডাউন।

আমাদের মতন সাধারণ মানুষেরা যদিও বা কোনো মতে চলছিল, কাল থেকে কি হবে সেটা ভেবেই মনটা বড্ড খারাপ। আজ ঘোষণা হয়ে গেলো,কাল থেকে শুভর অফিসও বন্ধ,আমরাও চিন্তায় পরে গেলাম।কারণ সত্যি বলতে এই পরিস্থিতির শেষ কোথায় না আপনি জানেন, না আমি। তাই কালকের চিন্তাটা মাথায় থেকেই যায়।

যাইহোক, কপাল বলে একটা শব্দ বোধহয় এইভাবেই একটা গোটা জীবন চালিত করে, আর কপালের দোহাই দিয়ে আমরাও এড়িয়ে চলি অনেক পরিস্থিতি। এটাও এমনই একটা সময়,দেখবেন সকলের মুখে মুখে এখন একটাই কথা ফিরে - যদি কপালে থাকে করোনা আক্রান্ত হয়ে মরবো, তাহলে তা কেউ ঠেকাতে পারবে না।"

আমাদের মতন মানুষের কাছে এই কথাটা একে বারে ওষুধের মত কাজ করে, মনে মনে এটা ভেবে আমারও ক্ষণিকের জন্য নিজের মনকে বুঝিয়ে নেই। আর সত্যি কথা বলতে টিভি দেখার অভ্যাস এখন একেবারেই ত্যাগ করা উচিৎ। তাতে অন্তত চিন্তা একটু কম হবে।

টিভিতে খবর দেখে আমরা আর ও বেশি চিন্তিত হয়ে পড়ি,আমাদের সাথেও কি এমনই ঘটবে এটা ভেবে ভেবে নিজেদের মনের জোর হারিয়ে ফেলি।ভালোভাবে বাঁচতে ভুলে যাই। তাই বলা ভালো বর্তমানে টিভি দেখে আনন্দ পাওয়ার পরিবর্তে মানুষ বেশি চিন্তিত হয়ে পড়ছে।

যাইহোক,পরিস্থিতি যেমনই হোক,নিজেদের মনের জোর হারালে চলবে না।সাবধানতা অবলম্বন করতেই হবে। সুস্থ থাকতে হবে।খুশিতে থাকতে হবে।সকলে চেষ্টা করবেন আশেপাশের মানুষগুলোকেও হাসিখুশি রাখতে, যাতে একসাথে সবাই মিলে এই দুর্সময় আমরা কাটিয়ে উঠতে পারি।

শুভরাত্রি।

H2
H3
H4
3 columns
2 columns
1 column
Join the conversation now
Ecency