View full version

"নিজের জন্য গর্বিত মন সর্বদা নিজের ভালো থাকারই সঙ্গী হয়"

IMG_20210526_203516.jpg

প্রিয়,
পাঠকগণ,

কেমন আছেন আপনারা সবাই?

দুর্যোগ যদিও এখনো পুরোপুরি কাটেনি, তবে কাল থেকে আবহাওয়া উন্নত হতে পারে,এমনটাই জানিয়েছে আবহাওয়া দফতর।

আমাদের জীবনে আমরা যারা ঈশ্বরকে বিশ্বাস করি, তারা প্রত্যেকে এটা মানি যে,অন্যের চোখকে ফাঁকি দেওয়া গেলেও ভগবানের চোখ কিন্তু এড়ানো যায় না।
সেটা যে কোনো বিষয়েই হোক না কেন।

আজ অন্যের নয় আমি নিজের কথাই বলবো। আমি বিশ্বাস করি ঈশ্বর আছেন।সবসময়,সবজায়গায় আছেন। ভালোতে,মন্দতে,আনন্দে, কষ্টে সবজায়গায় তিনি আছেন।

তবে ঈশ্বরের পাশাপাশি আমি কর্মেও বিশ্বাসী। এটা কখনই সম্ভব নয় যে ঈশ্বরকে বিশ্বাস করে ঘরে বসে থাকলেই জীবন কেটে যাবে,তার জন্য কর্ম করতে হবে। তবে কর্ম এমন করা উচিৎ যাতে নিজের বিবেক অনুমতি দেয়।

আমি আমার এতটুকু বয়েসে জেনে বুঝে কাউকেই কষ্ট দিয়েছি এমন মনে পড়ে না।তবে হ্যাঁ কেউ আমার জন্য কষ্ট পাছে জেনেও আমি তার কষ্ট কম করতে পারিনি। কারন তাতে আমার বিবেক সারা দেয়নি।তার কষ্ট কম করতে গেলে তাকে মিথ্যে বলতে হত, যেটা আমি করিনি।

যাইহোক, এটা অন্য গল্প।সম্ভব হলে একদিন শেয়ার করবো আপনাদের সাথে।আজ অন্য বিষয়ে কথা বলবো।আমি কথা বলছি গর্ব নিয়ে।আমাদের নিজেদের উপর গর্ব কখন হয়?যখন আমরা নিজেরা বুঝতে পারি আমরা খুব ভালো কাজ করেছি,তখন ভেতরে ভেতরে আমরা গর্ব অনুভব করি।

আর নিজের ভেতরের এই গর্বটা আমাদের ভালো থাকার একমাত্র সঙ্গী।কেন বললাম? না আসলে জীবনে চলার পথে বহু ক্ষেত্রে বহুমানুষ এমন দেখতে পাবেন,যাঁরা আপনার সামনে একরকম আর পিছনে অন্যরকম। আপনার সামনে আপনার কাজের প্রশংসা করবে আর পিছনে বিদ্রুপ করবে।

আমি তো মনে করি এর থেকেও তারা ভালো যারা মুখের উপর খারাপ বলার মত মানসিকতা রাখেন। তবে সেই মানুষগুলো আবার বেশিরভাগ মানুষের কাছে অনেক বেশি অপ্রিয় হয়ে থাকেন।

তবে হ্যাঁ আমি নিজেও কিছু কিছু ক্ষেত্রে অনেককেই সামনা সামনি কিছু বলতে পারিনা। যদিও তাদের চিন্তা ভাবনা সবটা এখন বুঝতে পারি তাই খারাপ লাগে না।কারণ আমার পিছনে আমাকে নিয়ে সমালোচনা করতেই তারা অভ্যস্ত সেটা আমি জানি।তবে যেটা তারা জানে না সেটা হলো,তাদের মনের আর মুখের কথার পার্থক্য এখন আমার কাছে একদম স্পষ্ট।

তাই তারা আমায় নিয়ে গর্ব করলো,না সমালোচনা করলো,তাতে আজকাল আর মাথা ঘামাই না।নিজের বিবেকের কাছে পরিষ্কার থেকে যে কাজ করা উচিত সেটাই করি।কারণ অন্য কেউ আমায় নিয়ে কি ভাবলো তার থেকেও বেশি জরুরী আমি নিজেকে কি ভাবছি।

তাই আজকাল চেষ্টা করি এমন ছোটো ছোটো কাজ করতে যাতে নিজেই মনে মনে একটু গর্ব অনুভব করতে পারি,কারণ এটাই একমাত্র আমাকে ভালোথাকার রসদ যোগায়। তাই বলছি আপনারাও চেষ্টা করবেন অন্যদের পাশাপাশি নিজেকে ভালো রাখার।দিনশেষে এটা মনে হবে অন্য কেউ না জানুক আমি জানি আমি কি করছি।

ভালো থাকবেন,সুস্থ থাকবেন,সাবধানে থাকবেন শুভরাত্রি।