বন্ধুরা,
নানা সময় আমি হয়তো অনেক মজার লেখা নিয়ে আপনাদের সামনে হাজির হই, জানিনা হয়তো অনেকেই বিষয়টি সঠিক ভাবে নাও নিতে পারেন।
তবে আমার উদ্দেশ্য কিন্তু কখনোই কারোর প্রতি কটাক্ষ করা বা কাউকে ছোট করা নয়।
সাধারণ জীবনে এখন সবাই যে চাপের মধ্যে দিয়ে যাচ্ছি, এবং এরকম একটি মুহূর্তে কিছু সময়ের জন্য সেই চাপকে দুরে রাখতেই হয়তো আমার এইরকম লেখার নির্বাচন করা।
যাইহোক, এটা একদম সত্যি যে গতবছর থেকে মানব জীবনে সমচাইতে কঠিন সময় যাচ্ছে।
আর্থিক, মানসিক এবং শারীরিক সব দিক থেকেই।
প্রতিদিন মনে হয় জীবনটা একটা সময় এসে হটাৎ করে থেমে গেছে।
জিনিসপত্রের দাম আকাশ ছোঁয়া, বেকারত্বের হার ঊর্ধ্বমুখী, অজানা শত্রু দেহে বাসা বাঁধছে, তার উপরে প্রাকৃতিক দুর্যোগ একের পর এক মানব জীবনে আক্রমণ করে আজ মানুষের আত্মবিশ্বাস তলানিতে এসে ঠেকেছে।
একসাথে এত কিছু বোধ হয় ইতিহাসে আগে দেখা গেছে কিনা সন্দেহ।
একটা লড়াই তো মানুষ বরাবর লড়েই আসছিল সেটা হলো আর্থিক লড়াই।
বেকারত্বের লড়াই। তার সাথে এত কিছু যোগ হয়ে আজ মানুষের জীবন ওষ্ঠাগত।
প্রতিদিন নিজেকে করোনা থেকে সুরক্ষিত রাখতে গিয়ে নিজেকে গৃহবন্দি রাখতে গিয়ে ভাড়ার আজ শূন্য।
এদিকে পেটের জোগাড় করতে বাইরে গেলে করোনা হামলার ভয়, না ভয়টা জোরালো হয়তো হতো না যদি তার সাথে জীবনহানির সংশয় না থাকতো।
অনেকেই গৃহবন্দি থাকছেন এই ভেবে যে, বেচে থাকলে রোজগার পুনরায় করতে পারবেন, কিন্তু খালি পেট বেশিদিন এইসব লজিক মানতে চায় না।
মৃত্যু তো সব দিকেই, হয় ঘরে বসে না খেতে পেয়ে; নয়তো কারণার আক্রমণ এ।
যদি ধরেও নেওয়া যায় যে সবরকম সাবধানতা অবলম্বন করে কাজ এ বেরিয়ে পেটের জোগাড় কোনক্রমে করা যায় ও, তাহলে এই একের পর এক্ দুর্যোগ এসে মানুষের সেই উপার্জনে বাধার সৃষ্টি করছে প্রতিনিয়ত।
কাজেই এখন সব কিছু নির্ভর করছে সময় এর উপরে যদি সময় পরিবর্তনের সাথে আশার আলো আবার নিয়ে আসে মানব জীবনে।
একজন মানুষ হিসেবে আমিও সেটাই কামনা করি।
আজ এখানেই শেষ করছি, ভালো থাকবেন সবাই আর প্রার্থনা করি সব দুর্যোগ কেটে গিয়ে একটি নতুন সকাল সবার জীবনে আলোকপাত খুব শীঘ্রই যেনো করে।
নমস্কার।