বন্ধুরা,
এমনিতে আমার রাজস্থান ঘোরা, সপরিবার বেশ কয়েকবছর আগে গিয়েছিলাম।
কিন্তু কলকাতার তাপমাত্রা যে রেটে বৃদ্ধি পাচ্ছে তাতে করে তখন যে পরিমাণ খরচ হয়েছিল সেটা ভেবে আজ বেশ কষ্টই হচ্ছে।
যদি জানতাম একই রকম তাপমাত্রা এখানেও হয়ে যাবে তাহলে কেবল উট ভাড়ার খরচ টাই লাগতো।
যাক গে সেটা ভেবে এখন আর লাভ নেই, তবে ভাবছি আর দু তিন ডিগ্রী তাপমাত্রা বাড়লেই উট নিয়ে বেরিয়ে পড়বো।
আরে lockdown তাতে কি! সকালে তিন ঘণ্টা বাজার খোলা, বিকেল পাঁচটা পর্যন্ত মিষ্টির দোকান খোলা, এবং ওষুধের দোকান সারাদিন খোলা।
কেনো বললাম বুঝলেন না তো? দাড়ান পাখাটা একটু জোড়ে দিয়ে এসে বলছি।
হ্যাঁ! যা বলছিলাম, দেখুন সকাল সাতটার সময় উটের পিঠে করে বেরিয়ে পড়বো বাজারের উদ্দেশ্যে, তারপর সকাল দশ টা পর্যন্ত ঘোরাঘুরি করে, সোজা হাজির হয়ে যাবো মিষ্টির দোকানে।
সেখানে পাঁচটা পর্যন্ত কাটিয়ে দুর থেকে ওষুধের দোকানে ঘোরাঘুরি করে তারপর বাড়ি ফিরবো।
আর উটের পিঠ এতোটাই উঁচু যে করোনা পৌঁছতে পারবে না।
আমি তো ভাবছি মিস্টার ইন্ডিয়া সিনেমা তে যেমন লাল রঙের কাচের মধ্যে দিয়ে মিস্টার ইন্ডিয়া কে দেখা যেত তেমন একটা কাঁচ আবিষ্কার করেই ফেলবো করণাকে দেখার জন্য।
তারপর ব্যাটার ছেলে( না মেয়েও হতে পারে) কোথায় পালায় আমিও একবার দেখতে চাই।
হাতে স্যানিটাইজার আর চোখে চশমা নিয়ে উটের পিঠে করে করোনা বধ করতে বেরিয়ে পড়বো।
নতুন যুগের সুপার হিরোকে উঠের পিঠে করে দেখা গেছে, খবরের পাতার শীর্ষক!
উফফ ভাবলেই কেমন একটা শিহরন জাগছে গায়ে।
সত্যজিৎ রায় ছাড়া তেমন করে উট কে কেউ প্রাধান্য দেয় নি, আমি সেই অবিচারের প্রতিবাদ করতে, তাই উটকে বেছে নিয়েছি।
যাক ভালই মানাবে আমাকে কি বলেন আপনারা?
উটের পিঠে, লাল চশমা পরে হাতে মেশিনগান এর জায়গায় স্যানিটাইজার স্প্রে নিয়ে ফুচুত ফুচুত করে স্প্রে করে করোনা বধ করতে করতে এগিয়ে যাবো।
আচ্ছা আয়রন ম্যান হতে পারলে করোনা ম্যান কেনো হবে না!
যাক পরিকল্পনা এখন চলছে, সফলতা পেলেই আবার আপনাদের মাঝে জানাতে চলে আসবো।
ততক্ষণ বাইরে বেরোবেন না, যদি বার হন তাহলে নিজের দায়িত্বে; করোনা ম্যান কিন্তু ফলাফলের দায় নিতে পারবে না।
আজ আসলাম, দেখি প্রথমে একটা উটের খোঁজ করে পাই কিনা।
নমস্কার।