শৈশব সবচাইতে গুরুত্বপূর্ণ সময়, কাজেই তার সুষ্ঠ গঠন নির্ভর করে বাড়ির পরিবেশের উপরে।

IMG-20210524-WA0084.jpg

বন্ধুরা,
কেমন আছেন সবাই? আশাকরি সবাই ভালো আছেন।
আজ আমি একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় নিয়ে আপনাদের মাঝে এসেছি।
আমরা আজ যারা সময় এর সাথে সাথে পরিণত হয়েছি, তারা হয়তো আমার শীর্ষক টির গুরুত্ব বুঝবেন।

শৈশব সবচাইতে গুরুত্বপূর্ণ সময় একটি শিশুর জীবনে, কাজেই তার সুষ্ঠ গঠন নির্ভর করে বাড়ির পরিবেশের উপরে।
কেনো কথাটা বলছি তার যথেষ্ট কারণ আছে।
বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই দেখা যায়, মা এবং বাবা তাদের শিশুর সামনেই অশালীন ভাষা এবং আচরণ করে থাকে।
তারা মনে করেন তাদের বাচ্চা যেহেতু ছোট তারা কিছুই বুঝবে না।
কিন্তু যারা জানেন তাদের জন্য নয় যারা জানেন না তাদের জানিয়ে রাখি, শিশুদের মস্তিষ্কের গ্রহণ করার ক্ষমতা একজন প্রাপ্ত বয়স্কের চাইতে অনেকগুণ বেশি, তাদের স্মৃতি শক্তিও, প্রাপ্ত বয়স্কদের থেকে অনেক বেশি।
কাজেই মা এবং বাবার আচরণ একটি শিশুর শৈশব এবং তার বৃদ্ধির উপরে অনেক খানি প্রভাব ফেলে।
প্রতিনিয়ত সন্তান এর সামনে বসে মদ্যপান, অকথ্য ভাষায় কথা বলা, স্ত্রীর উপরে শারীরিক এবং মানসিক নির্যাতনের প্রভাব পরে একটি শিশুর উপরে।।
বেশির ভাগ ক্ষেত্রে দেখা যায়, যদি শিশুটি ছেলে হয় তাহলে বড়ো হলে রেপিস্ট বা অসামাজিক কাজে যুক্ত হয়ে পড়ে, সাথে বিভিন্ন নেশায় জড়িয়ে পড়ে।।

IMG-20210524-WA0095.jpg

যদি কন্যা সন্তান হয় তাহলে, অসময় কোনো আত্মীয়র(কথাটি রূঢ় বাস্তব) সাথে কোনো সম্পর্কে জড়িয়ে যায়, কারণ শিশুকে পাশে নিয়ে ও স্বামী - স্ত্রী শারীরিক সম্পর্ক অব্যাহত রেখে যান ওই একই অজুহাত এ বাচ্চা কিছুই বুঝবে না।
এছাড়াও অল্প বয়সে কোনো ভুল মানুষের সাথে সম্পর্কে জড়িয়ে পড়তে দেখা যায়।
এছাড়াও নানা ধরনের নেশা এবং সঙ্গীর সাথে জড়িয়ে পড়তেও দেখা যায়।
কারণ জানার ইচ্ছে তাদের মধ্যে প্রবল থাকে এবং বয়সের কারণে ঠিক বেঠিক সিদ্ধান্ত নেবার ক্ষমতা কম থাকার ফলেই এমনটি হয়।
অনেক শিশু মানসিক রোগ এর স্বীকার পর্যন্ত হয়ে পড়ে।
কাজেই, আজ আমি অনুরোধ করতে চাই সকল মা এবং বাবাদের কাছে।
কেবলমাত্র সন্তান কে জন্ম দিয়ে, তাকে খাইয়ে পরিয়ে নিজের দায়িত্ব শেষ হয়ে যায় না; সবার প্রথমে যেটা প্রয়োজন সেটা হলো একটি শিশুকে সুন্দর এবং সুস্থ ঘরোয়া পরিবেশে দেওয়া।
নইলে ফলাফল এর জন্য নিজেকে প্রস্তুত রাখবেন।
সময় এর চাকা প্রতিনিয়ত ঘুরছে, তাই আজ যেটা দেবেন কাল সেটা আপনি ফেরত পাবেন।
আজ এই পর্যন্তই, ভেবে কাজ করবেন, কাজ করার পর ভেবে লাভ নেই।
নমস্কার।

IMG-20210527-WA0014.jpg

H2
H3
H4
3 columns
2 columns
1 column
Join the conversation now
Ecency