বন্ধুরা,
কেমন আছেন সবাই, আশাকরি সবরকম সাবধানতা অবলম্বন করে চলছেন। আপনারা হয়তো অনেকেই আমার কথার সাথে সহমত পোষণ করবেন আবার অনেকেই হয়তো করবেন না।
যারা করবেন তাদেরকে আমি অবশ্যই সাহসী আক্ষা দেবো, কারণ সিদ্ধান্ত নিতে পারাটাই প্রথমত সহহকতার পরিচয় বহন করে।
কিন্তু অনেকেই আবার আছেন যারা সিদ্ধান্ত টা ভুল হয়েছে জেনেও সেই সিদ্ধান্তকেই আজীবন বহন করে যায়।
অনেকের কাছে তার পিছনের অনেক যুক্তি শুনতে পাওয়া যায় কিন্তু বাস্তবিক ভাবে দেখতে গেলে তারা একটা ভুল সিদ্ধান্ত নেবার ফলে দ্বিতীয়বার নতুন করে সিদ্ধান্ত নিতে ভয় পান, এবং তার জন্যই ভুল সিদ্ধান্তের সাথেই সারাজীবন নিজেদেরকে বয়ে বেড়ান।
তাদের নিজেদের নেওয়া সিদ্ধান্তের প্রতি আস্থা এতোটাই কমে যায় যে ঠিক ভুল এর ভেদাভেদ ক্ষমতাটা থাকে না।
আর যদিও না থাকে, সুরক্ষিত জীবনের আশায় সেখান থেকে বেরোতে পারে না, অথচ অনিশ্চিত জীবনে কে কোনো কিছুতেই নিশ্চয়তা নেই সেটা তারা বেমালুম ভুলে বসে থাকে।
জীবন আমার কাজেই যদি কোনো কারণে সিদ্ধান্ত ভুল হয়েই থেকে তাহলে স্থির জল এর মত একজায়গায় দাড়িয়ে নিজেকে শ্যাওলা ধরানোর কোনো যথাযত কারণ বা যুক্তি কিন্তু তাদের নিজেদের কাছেও নেই।
এবার বলবো মানসিক দুর্বলতা বা মায়া, মমতা ইত্যাদির কথা।
আচ্ছা, একটা বাস্তব কথা বলতে পারেন? আমরা যখন এই পৃথিবী ছেড়ে যাই, কতজন এই উপরিউক্ত বিষয়গুলোর জন্য আমাদের সাথে ইহলোকের মায়া ত্যাগ করে আমাদের সাথে যায়?
একজন ও নয়, কারণ যার যার জীবনের মায়া তার তার; কিছুদিন খারাপ লাগা কাজ করলেও স্বাভাবিক জীবনে সবাই আবার ফিরেই যায় তাই না?
তাহলে শুধু শুধু ওই মায়া, মমতার অজুহাত এর আড়ালে নিজের জীবনকে একটা ভুল সিদ্ধান্তের আড়ালে, মায়া এবং মমতার নামে লুকিয়ে রাখার মনে কি?
আমি অনেকের ক্ষেত্রেই দেখেছি, স্ত্রী মারা যাবার একমাসের ভিতরে নতুন করে সংসার পাততে; তাহলে এতবছর যে তার সবটা দিয়ে সংসার আগলে রেখেছিল, তার প্রতি সেই মায়া একমাসের মধ্যে উধাও কি করে হয়ে যায়?
তাহলে বিষয়বস্তু কি দাঁড়ালো? যারা সঠিক সময় সঠিক সিদ্ধান্ত নিতে পারেন তারা বিচক্ষণ, কিন্তু সিদ্ধান্ত ভুল জেনেও সেটাতে যারা অবিচল থাকেন তারা আসলে নিজেদের নির্বুদ্ধিতার পরিচয়বাহক।
সময় কারোর জন্য বসে থাকেনি আর কোনোদিন থাকবে না, কাজেই সময়ের সাথে নিজের ভুল গুলো কে শুধরে নিতে না পারলে, পরিস্থিতিকে দোষ দিয়ে বিশেষ লাভ হয় না।
আজ এখানেই শেষ করলাম, জীবনের অনেকটা পথ পেরিয়ে এসেছি নানান ওঠা পড়ার মধ্যে দিয়ে তার থেকেই এই সিদ্ধান্তে উপনীত হয়েছি।
এটি সম্পূর্ণ একান্ত নিজেশ্য উপলব্ধি। যার যার জীবন দায়িত্ব তার তার; কাজেই নিজের মতো করে সবাই ভালো থাকবেন।
নমস্কার।