Helpless girl

IMG_20210926_132558.jpg

বাস চলছে। আমি আমার মতো চুপচাপ বসে আছি। নিজস্ব গতিতে ছুটেই চলছে। এভাবে চলতে চলতে রাত নেমে এলো। ১০ মিনিট বিরতি দিলো মির্জাপুরের পরে একটা ফিলিং স্টেশনে। আমি নেমে পড়ি গরম চায়ের চুমুকের লোভে।হাত পা ঠান্ডা আর শক্ত হয়ে গেছে বরফের মতো।চায়ের উষ্ণতা না পেলেই নয়। ভিড় জমায় চায়ের দোকানে।চায়ের কাপে উষ্ণতার চুমুক দিয়েই যাচ্ছি। পাশে একজন ভদ্রলোক এসে বসলো! আমি তাকিয়ে মুচকি হেসে আবার চায়ে চুমুক দিতে লাগলাম। লোকটার বয়স ৬৫ বছরের মতো হবে সাথে একটা ৯-১০ বছরের মেয়েও আছে। দেখে ভদ্র লোকই লাগছে, একটা দুইটা কথা বলতে বলতে গল্প জমে উঠলো। কথা বার্তার এক পর্যায়ে জানতে পারি,তার বাসা টাংগাইলেই, সে এই বাসেই ঢাকা যাবে।

গল্প করতে করতে বাস ছাড়ার সময় হয়ে গেলো। বাসে উঠলাম, লোকটিও ছোট মেয়েকে নিয়ে বাসে উঠলো। আমার সীট থেকে ৪ সীট পিছনে বসছে। আমি কানে ইয়ারফোন লাগিয়ে গান শুনছি আর জানালা দিয়ে বাইরে তাকিয়ে রাতের ব্যাস্ত হাইওয়ে দেখছি। যখন বাস চলতে শুরু করে তখন বাসের বেশি আলোকিত লাইট গুলো অফ করে হালকা আলোর লাইট জ্বালানো হয়। পিছন দিকে ঐ লোকটার সীটের তাকালাম, হালকা আলোতে ঝাপসা ঝপসা দেখা যাচ্ছে তারা দুজন চুপ করে বসে আছে৷ মেয়েটা কোন কথা বলছে না। লোকটাও ছোট্ট মেয়েটার সাথে কথা বলছে না।

মনের মধ্যে একটা খটলা লাগলো তখনি যখন দেখলাম দুইজনই সেই শুরু থেকেই চুপ রয়েছে। ভাবতে ভাবতে কানে আবার ইয়ারফোন লাগিয়ে গান শুনছি। হঠাৎ বাস চন্দ্রার আগে থামলো, বাইরে তাকিয়ে আছি! বাস চলছে! বাইরে থেকে ঠান্ডা হাওয়া আসছে, শীত লাগলেও ভালো লাগছিলো।

হঠাৎ পিছনে তাকিয়ে দেখি, ছোট্ট মেয়েটা কাঁদছে। লোকটা নাই শুধু মেয়েটা বসে কাঁদছে একা একা। কন্ট্রাক্টরকে ডেকে বললাম, সে বললো, লোকটা নেমে গেছে কিছুক্ষন আগেই।

H2
H3
H4
3 columns
2 columns
1 column
1 Comment
Ecency