হ্যালো,
আসসালামু আলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহ, আপনারা সবাই কেমন আছেন? দীর্ঘ দিন ধরে আমাদের দেশের কিছু সংখ্যক মানুষ বলাবলি করে আসছে- বাংলাদেশ নাকি শ্রীলঙ্কায় পরিণত হতে যাচ্ছে ! অবশ্য বিভিন্ন সমস্যা ও চিন্তা ধারা এবং কাজ কর্মের কিছুটা মিল রয়েছে তারা এমনটাই ভাবে, তাই এর চেয়ে বালো চিন্তা করার মতো জীবন হয়তো তাদের জানা নেই বলেই আমার মনে হয়। তবে অন্য দিকে দেখা যায়, বাংলাদেশও প্রথম ম্যাচ আফগানিস্তানের সাথে হেরেছে, যেমনটা রেজাল্ট প্রথম ম্যাচে শ্রীলঙ্কাও আফগানিস্তানের সাথে পেয়েছিলো আমরা দেখতে পেয়েছিলাম। তবে আমাদের মনে রাখা উচিৎ ভালো হলে সকল প্রতিযোগিতার জায়গায় সকলেই সকলের প্রতিদন্ধি, নেই কোনো জয়ের সন্ধি।
ক্রিকেট র্যা ঙ্কিংয়ে বাংলাদেশ ক্রিকেট আফগানিস্তানের চেয়ে ভালো অবস্তানে থাকার পড়েও অত্যন্ত সহজভাবে ও বাজেভাবে হেরে যাওয়া কখনোই সহনীয় না। আর যার ফলসরূপ জানাতে হচ্ছে, শুভকামনা আফগানিস্তান দল সবার প্রথমে সুপার ফোরে জায়গা করতে পাড়ার জন্যে। অন্যদিকে আমরা ভেবেছিলাম যে, যেহেতু শ্রীলঙ্কা প্রথম ম্যাচ আফগানিস্তানের সাথে হেরেছে, তাহলে সহজেই আফগানদের হারিয়ে সুপার ফোরে চলে যাবো আমরা !! কিন্তু আফগানিস্তান এমন চিন্তা রাখার কোনো সুযোগ রাখেনি আমাদের জন্য, উল্টো তারা আমাদের নকআউট চিন্তায় ফেলে দিয়েছে ? যা আজকের ম্যাচে বিশাল লড়াইয়ের নির্দেশনা প্রকাশ করে।
আমাদের দলের সুপার ফোরে যাওয়ার জন্যে, সুযোগের দুয়ার আজ বাংলাদেশ সময় রাত ০৮:০০ টায় শ্রীলঙ্কার সাথে নকআউট ম্যাচের মাধ্যমে খোলবে কিনা নির্ধারণ হতে দেখা যাবে। অন্য দিকে পাকিস্তান এবং হংকং এর ম্যাচেরও একই অবস্থা বলা যায়। দু দলই প্রথম ম্যাচ হেরে যাওয়ায় তাদের খেলাও নকআউট সিস্টেমে গড়িয়েছে, সেই চমৎকার ম্যাচটিও দেখতে পাবো আমরা আগামীকাল রাতে। তাই বলতে হচ্ছে, দেখা যাক কোথাকার জল কোথায় যেয়ে গড়ায়। মজার বিষয় হোলো, যদি মুখ দিয়ে কথা বলে ক্রিকেট খেলা জয় করা যেতো তাহলে হয়তো আমাদের ভালো অবস্থান থাকতো। সবকিছুতেই যেভাবে আমরা যুক্তি দিয়ে জেতার চেষ্ঠা করি তা সত্যিই নিজেদের বোকা বলেই প্রকাশ করে, যা আমরা কেনো যানি বুঝতেই চাই না, আর বুঝলেও মানতে চাই না।
প্রথম ম্যাচের পরাজয়ের শিক্ষাকে আজ সুপার ফোরে যাবার নকআউট ম্যাচে ভালোভাবে প্রয়োগ করতে হবে বাংলাদেশ দলের টাইগার খেলোয়াড়দের। আর তাই সাকিবের আজকের ম্যাচের প্রথম কাজ হবে, শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে আগে ভালো বলিং করার মাধ্যমে ব্যাটসম্যানদের ব্যাটিং করার মানসিক প্রেসার কমিয়ে দেয়া এবং সেই সাথে একজন বিচক্ষণ অধিনায়কের ভুমিকার মাধ্যমে দলকে সুপার ফোরে নিয়ে যাওয়া।
আজ আমাদের দলের খেলোয়াড়দের কিছুটা পরিবর্তন দেখতে পাড়াটাই স্বাভাবিক বলা যায়। আমাদের দেশের ক্রিকেট এই পরিবর্তনটা ছাড়া অন্য কোনো পুরিবর্তন পাড়ার দৃষ্টান্ত এখোনো দৃশ্যপাত করতে পাড়েনি সহজেই বলা যায়। পরিবর্তন হোক সঠিক জায়গার এবং সঠিক জিনিসের দেশের ক্রিকেট ও দেশের সম্মান বাড়ানোর জন্যে। আমার খুব দুঃখ লাগে আমাদের দেশের ক্রিকেটের জন্যে। আরে আমাদের দেশ ১৮ কোটি প্লাস মানুষের দেশ খুঁজতে গেলে ২ থেকে ৩ কোটি ক্রিকেটার পাবেন, তার জন্যে কি একের পরে এক খালি পরিবর্তন করবেন নাকি বুঝলাম না। অবাক করা সকলজ্ঞান পাপী মানুষগুলো আমাদের এখানেই থাকে মনে হয়। বাদ দিবো আর নতুন নিবো এই সহজ পরিবর্তন জ্ঞানতো ভাই যেকোনো মানুষেরই আছে। কাকে দরকার ও কি দরকার জানেন না তাইতো, এমন একজন খেলোয়াড় দরকার যে অন্য খেলোয়াড়দেরও খেলাতে পাড়ে এবং নিজেও ভালো খেলতে পাড়ে দেশের ক্রিকেটের জন্য ও দেশের সম্মান বাড়ানোর জন্যে। আর এমন মানুষ কখনোই আট দশটা খেলোয়াড়ের মতো সাধারণ চিস্তা অনুযায়ী কাজ করে না। গলিতে গলিতে বাচ্চাদের উঠতি বয়সে যে খেলা, সেই খেলা যদি ন্যাশনাল জায়গায় দেখতে হয় তাহলে তাহলে সহজেই বুঝে নিতে হবে সমস্যাটা মানসিকতায় গিয়ে দাড়িয়েছে। যার ফলে বলতে হয় সাধারণ মানসিকতার সাধারণ খেলা বর্তমানে বাংলাদেশ দলে খেলে যাচ্ছে।
তবে আশা করা যাচ্ছে, আমাদের ক্রিকেট দলের বর্তমান কেপ্টেন সাকিব হয়তো অধিনায়কের জায়গা থেকে বাংলাদেশ দলের জন্যে অসাধারণ মহামুল্যবান কাজটি করতে পাড়বেন। আর আমিও বলবো অধিনায়ক সাকিবের অবশ্যই পাড়া উচিত, নিজের দেশ ও দেশের ক্রিকেটের সম্মানকে আরও বাড়ানোর জন্যে নিজেকে অসাধারণ ভাবে প্রকাশ করা। আর সকল খেলোয়াড়ের এমনটাই অসাধারণ হওয়াটাই দরকার। আজ রাতের নকআউট পরীক্ষায় আমাদের দলের সুপার ফোরে খেলতে পাড়ার জেন্য আজকের ম্যাচে বাংলাদেশ দলের ভালো খেলা ছাড়া আর কোনো উপায় নেই। তাই নিজ দেশের ভালো খেলা ও একটি সুন্দর ফলাফল দেখার জন্যে অপেক্ষায় রইলাম। ইনশা আল্লাহ আমাদের দল ভালো খেলে দেশের জন্য সম্মান বয়ে আনুক সবসময় প্রর্থনা করি।
ধন্যবাদ।