Raya and The Last Dragon-2021[রায়া এবং শেষ ড্রাগন(২০২১)]


Source


সিনেমাপ্রেমি কম বেশি আমরা সবাই।জীবনের এখন একটি বিনোদনের অংশ হিসেবে সবাই এখন সিনেমাকেই মনে করে।তবে এত সিনেমার ভিড়ে, কেন জানি আমার এনিমেশন সিনেমাই বেশী ভালো লাগে।সর্বশেষ যে ছবিটা দেখেছি আমি, তার নাম হলো রায়া।সুন্দর কল্পকাহিনীতে আকা।এর সিনেমার কিছু অংশই আজকে আপনাদের সাথে ভাগাভাগি করব! আমার সব সময় এনিমেশন সিনেমা দেখার প্রতি একটা ঝোক থাকে।মানে যেটা অন্যরকম ভালোলাগা বলা যায়!অনেক দিন পর দুই বান্ধুবির কথা! কি করব, কোথায় যাব? তার প্ল্যান করতে শুরু করলাম।তার মধ্যে আবহাওয়া প্রচন্ড গরম, তাই আমার কাছে, সিনেমা দেখাটাই বেশি আরামদায়ক মনে হলো এবং আমার বান্ধুবী ও রাজি!

হুটহাট জীবনে, হুটহাট পরিকল্পনা। তাও আবার মন্দ কি?তাই যেই ভাবনা, তার সাথে পুরো উদ্দোমে এগিয়ে যাওয়াই ভালো! অতএব পরেরদিনের অপেক্ষা।যথাসময়ে দুইজনই উপস্থিত! প্রথমেই আমরা ঠিক করলাম যে, কোন সিনেমাটা ভালো হবে।মতামত মিলে গেল,Raya and The Last Dragon দেখার ব্যাপারে।তো টিকেট কেটেই,যথারীতি আমরা আমাদের দুপুরের খাবারের পর্ব সেরে ফেললাম!

_সিনেমার নাম রায়া: Raya and The Last Dragon-2021[রায়া এবং শেষ ড্রাগন(২০২১)]
ডিরেক্টর : ডন হোল, কার্লোস লোপেজ স্ট্রাডা, পাওল ব্রিগস(কো-ডিরেক্টর), জন রিপা(কো-ডিরেক্টর)
লেখক: কোই নগুয়েন, আডিলি লিম,....
আইডিএম রেটিং: ৭.৪/১০
নিজস্ব রেটিং: ৮/১০
এই সিনেমার গুরুত্বপূর্ণ চরিত্র হলো : রায়া,সিসু,বাওন,নামারি,বেঞ্জা,টঙ,ভিরানা, টুকটক, টাইল সেফ _

এবার আসি মূল কাহিনীতে।ডিজনি এনিমেশন সিনেমা বরাবরই আমার পছন্দ। এতে হাস্যরসের যেমন অভাব নেই তেমনি যুদ্ধ, বিশ্বাস, টান টান উত্তেজনা সবই ছিলো!শুরুটা এরকম, প্রায় ৫০০ বছর আগে উমান্দ্রা নামে একটি দেশ ছিলো, যেখানে ড্রাগন আর মানুষেরা মিলে-মিশে বসবাস করতো। সেখানের মানুষেরা ড্রাগনদের বিভিন্ন শক্তির জন্য বেশ সুখেই বসবাস করত কিন্তু তাদের সুখ বেশী দিন টিকেনি!ড্রুম নামে এক প্লেগ সেখানে হানা দেয়।তারা সবার আত্মাকে আটকে রেখে তাদের দেহকে পাথরে পরিনত করে।ধারণা করা হয় যে সিসু নামে একজন ড্রাগনের তৈরী হার্টের জন্য ড্রুম নামের সেই প্লেগ থেকে সবাই বেচে যায়,এর মাধ্যমে মানব সভ্যতা ফিরে আসলেও, ফিরে আসেনি ড্রাগনরা..... এভাবেই সিনেমার শুরু!

এরপরে দেখায়,হার্ট নামের জায়গার নেতা বেঞ্জা তার মেয়ে রায়াকে শেখাতে থাকে কিভাবে তাদের স্থানে থাকা হার্টকে সুরক্ষিত রাখবে।এবং সে সাহসিকতার সাথে উত্তীর্ণ হয়।রায়া এবং তার বাবা খুব ভালো মনের মানুষ ছিলেন। তারা ভেবেছিলো যে সেই আগের মতো উমানদ্রা আবার ও সম্ভব হবে।তবে আশপাশের অঞ্চলের মানুষের লোভের কারণ হয়ে থাকে সেই হার্ট।এভাবে নামারির বিশ্বাস ঘাতকতার কারনে হার্টটি ভেঙে যায় এবং ড্রুম নামের প্লেগটি আবার ফিরে আসে।এবং রায়া বাবা সহ অনেকেই পাথরে পরিনত করে,আর বিভিন্ন জন সেই হার্ট এর টুকরো নিয়ে যে যেভাবে পারে পালিয়ে যায়!যেহেতু সিসু ছিলো ওয়াটার ড্রাগন তাই ড্রুম কখনো পানিতে আক্রমন করতে পারতো না।

পরের কাহিনীতে দেখা যায় ১২ বছর পরে।রায়া তখন তরুণী! যার মধ্যে মানুষকে বিশ্বাস করার প্রবণতা একেবারে শেষ হয়ে গিয়েছিলোএবং সে হার্টের বিভিন্ন টুকরো একত্রে করার অভিজানে নামে যাতে সে তার বাবাকে ফিরিয়ে আনতে পারে।ঘটনার পর্যায়ক্রমে সে সিসুকে খুজে পায় আর টুকরো গুলো খুজার সময় একে একে অন্যান্য চরিত্রে সাথে মুখোমুখি হয়! সবাই তাদের পরিবারকে ফিরে পাবার জন্য রায়া আর সিসুকে সাহায্য করে।তার মধ্যে মজার ব্যাপার হলো, বিভিন্ন টুকরো পাবার পর সিসু মাইটি বিভিন্ন পরিবর্তন করে।যেটার মানে হলো যে এই পাওয়ার গুলো ছিলো তার ভাই -বোনদের।যখন ড্রুম সবাইকে আক্রমণ করেছিলো তখন তাদের সবার পাওয়ার গুলো এক করে তারা এই হার্ট বানিয়েছিলো এবং বিশ্বাস করেছিলো তাদের সবচেয়ে ছোট বোনকে, আর এই বিশ্বাস এর জন্য তারা সেই প্লেগকে সরিয়ে ফেলতে পেরেছিলো।

শেষে রায়া এই বিশ্বাস এর জন্য নামারির মাধ্যমে সেই প্লেগকে দুনিয়া থেকে সরিয়ে ফেলতে পারে এবং পুনরায় আবার সেই ড্রাগন আর মানুষেরা সবাই ফিরে আসে।এবং এই কৃতজ্ঞতায় আবার সেই আগের উমান্দ্রায় পরিনতি করে। সব মিলিয়ে বেশ সুন্দর একটি সমাপ্তি ঘটে। সব কিছু মিলিয়ে আমার খুব ভালোই লেগেছে।পৃথিবীতে বিশ্বাস বলে যে শব্দ আছে তা খুব শক্তিশালী তা খুব সুক্ষ্ম ভাবেই বুঝিয়ে দিয়েছে।এজন্য হয়তো সবাই বলে, বিশ্বাসে মিলায় বস্তু,তর্কে বহুদূর!

H2
H3
H4
3 columns
2 columns
1 column
1 Comment
Ecency