স্ক্রিন একটা নেশা। প্রতিটা দিন, প্রতিটি মুহূর্ত, বছরের পর বছর আমরা এই স্কিন নামক মাদকে আসক্ত হয়ে পরছি৷ আপনি কি একবারও খেয়াল করেছেন, মোবাইল ছাড়া আপনি এক মূহুর্তের জন্যও চলতে পারেন না৷ আপনি কি ভেবে দেখেছেন? আপনি ফিনে কতোবার মোবাইল এ হাত দেন / বিভিন্ন কারনে মোবাইল আনলক করেন??!
এক গবেষণায় দ্যাখা গেছে, বাংলাদেশে মানুষ সারাদিন এ গড়ে অন্তত ১৪৯ বার মোবাইল আনলক করে।
বাংলাদেশের শিশুরা স্কুলের গোন্ডি পার না হতেই ফেসবুকে আসক্ত হয়ে পরছে৷
এই ধরনের আসত্তি আমাদের এবং আমাদের ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য মোটেও সুখকর নয়৷ এই ডিজিটাল ডিভাইস আসত্তি জে শুধু বাংলাদেশের মানুষের ক্ষেত্রেই ঘটছে, বিষয় টা এমন নয়। সারা বিশ্বের সব মানুষই এখন এই বিষে বিশাক্ত।
এক গবেষণায় দ্যাখা গেছে জে, আমরা জখন কুনু ডিজিটাল ডিভাইস জেমন, মোবাইল, ল্যাপটপ অথবা এই জাতীয় কনো ডিভাইস ব্যাবহার করি তখন আমাদের মস্তিষ্কে ডোপামিন নামক এক ধরনের হরমোন নিঃসৃত হয়। ডোপামিন হরমোনের কাজ মূলত মানুষকে কনো কাজে আগ্রহী করে তোলা৷ এবং কনো কাজ এ আনন্দ প্রদান করা।
গবেষকরা বলে থাকে,আমরা জখন প্রচুর মোবাইল অথবা এই জাতীয় ডিভাইস ব্যাবহার করি, তখন আমাদের মস্তিষ্কে ডোপামিন হরমোন ক্ষরন হতে থাকে, এর ফলে এটা আমরা মাদক গ্রহন করলে অথবা একজন মাদকাসক্ত মানুষের ক্ষেত্রে জেমন ডোপামিন প্রভাব বিস্তার করতে পারে ঠিক তেমনই, এই ডিভাইস ব্যাবহার এর কারন্ব ডোপামিন আমাদের মস্তিষ্কে প্রভাব বিস্তার করে। এবং মনের অজান্তেই আমরা ঘন্টার পর ঘন্টা সময় ব্যায় করি এই অনলাইন নামক মাদক দুনিয়ায়। এতে করে আমাদের চোখের রেটিনার উপর মারাত্মক প্রভাব বিস্তার করে৷
এই ডোপামিন হরমোন জা কিনা মাদক দ্রব্য গ্রহন কারীদের মধ্যে অধিক পরিমাণ পাওয়া যায়, ইহা একই ভাবে ডিভাইস ব্যাবহার কারীদের মধ্যেও পাওয়া যায়। এই ডোপামিন হরমোন এর নিঃসরণ আমাদের বন্ধ করা উচিৎ, নইলে আমরা এবং আমাদের ভবিষ্যৎ প্রজন্ম ব্যাপক হুমকির মুখে পতিত হবে৷
এখনি সময়, সকল সচেতন নাগরিকদের এই হরমোনের ক্ষতি বোঝার সাপেক্ষে জনসচেতনতা ব্রিদ্ধি করা, জাতে করে মানুষ জে কনো ধরনের ডিজিটাল ডিভাইস ব্যাবহার কমিয়ে নিয়ে আসা।