মুক্তির পথের খোজে

বছর টা শুরু হওয়ার পর ই করোনার আক্রমণ। সবকিছু কেমন যেনো এলোমেলো করে দিলো।আমাদের জীবনে একপ্রকার স্থবিরতা ও বাধা তৈরি হলো।শহরে যেখানে শুরু হয়েছিল মৃত্যুর মিছিল সবাই তখন ছিল এক অনিশ্চিত ভবিষ্যতের দিকে তাকিয়ে। কখন কার প্রিয়জনের বিদায় ঘন্টা বেজে উঠে সে ভয়ই যেন তীলে তীলে খাচ্ছিল তার উপর অধিকাংশ ক্ষেত্রে অর্থনৈতিক সমস্যা যেন "মরার উপর খাড়ার ঘা।"
তবে এগুলো ধীরে ধীরে কাটিয়ে উঠতেছি, করোনাকে প্রাত্যহিক জীবনের সাথী মেনে নিয়ে মানুষজন জীবিকার তাগিদে বের হওয়া শুরু করেছে।মৃত্যুর মিছিলের সাথে পাল্লা দিয়ে জীবিকার তাগিদে কর্মযজ্ঞে সবাই।

সবকিছুর মাঝেও একদিকে একটি অপূরনীয় ক্ষতি রয়েই গিয়েছে একটি।যা দিন দিন ক্রমশ বেড়েই চলছে।যা আমাদের ভবিষ্যৎকে ক্ষতিগ্রস্ত করবে শতকরা শতভাগ। সেই শুরু থেকে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান গুলো বন্ধ।চালু করার মতো পরিস্থিতি নেই। সামনে হবে কিনা তারও কোনো লক্ষ্মণ দেখতে পাচ্ছি নাহ।

IMG_20201129_011751.jpg

আমার পাশের বাড়ির এক ভাতিজার কথা বলি যার এইবার পঞ্চম শ্রেণীতে সমাপনী পরীক্ষা দেওয়ার কথা ছিল।কিন্তু শুরু থেকেই স্কুল প্রতিষ্ঠান বন্ধ। সে পড়ায় খুব ভালো কিন্তু খেলাধুলায়ও খুব আকৃষ্ট।তো লকডাউনের শুরু থেকেই তাকে বাসায় বন্দি করে রাখতে বেশ বেগ পেতে হয়েছে।পড়ালেখা প্রায় কমেই গিয়েছে তাও বাসায় কিছুটা করেছে এক্সামের চিন্তা করে। ধীরে ধীরে পরিস্থিতি অনুকূলের বাইরে যাওয়ায় ঘোষণা এলো যে এইবার পরীক্ষা হবেনা। বিদ্যালয় থেকে বড়িতে বসে বসে কিছু পরীক্ষা নেওয়া হলো,এখনও হচ্ছে তবে তা খুবই সামান্য প্রভাব রাখছে গতানুগতিক শিক্ষা ব্যস্ততার তুলনায়। এভাবে দিন যাচ্ছে তারপর তাকে ষষ্ঠ শ্রেনী তাকে ইংরেজি মাধ্যম বিদ্যালয় থেকে সরিয়ে জেলার সনামধন্য একটা প্রতিষ্ঠানে ভর্তিপরীক্ষা দেওয়ার জন্য প্রস্তুতির ব্যবস্থা করা হলো। তা প্রায় গত একমাস যাবৎ চলছিল এরই মধ্যে ঘোষণা এলো যে এইবার ভর্তি পরীক্ষা হচ্ছে নাহ বিদ্যালয় গুলোতে। শিক্ষার্থী নিয়োগ দেওয়া হবে লটারি মাধ্যমে।

পুনরায় তার পড়ার তাগিদে বাধা, আবার সেই ঢিলেমি যেহেতু পঞ্চন শ্রেণীর পরীক্ষাও হবেনা আর ভর্তি পরীক্ষাও লটারি এর মাধ্যমে হবে তো তার জোড় টাও কমে গিয়েছে। জানিনা এখন কতটুকু সিলেবাস শেষ করতে পারবে এইভাবে তবে তারা প্রকৃতপক্ষে শিক্ষাক্ষেত্রে অনেক পিছিয়ে পড়ছে তা শতভাগ নিশ্চিত। তা কিভাবস পুষিয়ে উঠবে তা নিয়েও আমি সন্ধিহান। নিরাপত্তা আগে তা মেনে নিলাম কিন্তু সত্যিকার অর্থে এই বিষয়ে আমাদের খবই অপূরণীয় ক্ষতি হয়ে যাচ্ছে তা কেউ অস্বীকার করতে পারবে নাহ। শিক্ষাব্যবস্থায় এতবড় ক্ষতি তা কিভবে কাটিয়ে উঠবো তার সঠিক পথ এখনো আমার চোখে পড়েনি।সরকারের কোন কোন পদক্ষেপ গুলো আমাদের এই ক্ষতিটা পূরণ করতে পারবে তা শীঘ্রই খুজে বের করে ব্যবহার করা উচিত।

আমার বলা এই একটি শিক্ষার্থীর মতো কত কত শিক্ষার্থী রয়েছে যারা এইরকম এক অপূরনীয় ক্ষতির মধ্যে দিয়ে যাচ্ছে। কবে যেন এই মহামারী থেকে আমরা সবাই পূর্ন রূপে মুক্তি পাবো তারই প্রতিক্ষা। শীত এসেছে পরিস্থিতি উলটো দিকে মোড় নিচ্ছে,করোনার প্রকোপ বেড়ে চলছে। এ কি এক অনিশ্চিত পথে চলতে যাচ্ছি তার শেষ কোথায়? আছে কি শেষ? কবে?

H2
H3
H4
3 columns
2 columns
1 column
4 Comments
Ecency