হ্যালো আমার প্রিয় বন্ধুরা,
আশা করি সবাই খুব ভাল আছেন।
আল্লাহর রহমতে আমিও খুব ভালো আছি।
গরুর মাংস রেসিপি
গরুর মাংস আমার অনেক পছন্দের , বাসায় গরুর মাংস রান্না করা হয় তখন আমি আর অন্য কোনো তরকারিতে হাত দেয়না , গরুর মাংস দিয়ে আমার খাওয়া হয়ে যায় , বাসায় যখন গরুর মাংস রান্না করা হয় তখন ওরদেড়েক বেশি গরুর মাংস আমার পেটে যাই , এখানে লজ্জার কিছু নাই , আমি আমার ঘরের টা খাচ্ছি , কোনো দাওয়াতে না কিন্তু হাহা ,,, তবে দাওয়াতে গেলে এত বেশি খেতে পারিনা কারণ তো একটায় মানুষ হা করে তাকিয়ে থাকে , তখন যদি আমি বাসার মতো খাই তাহলে মানুষ কি ভাববে , যাই হোক আজ আমাদের বাসায় গরুর মাংস রান্না করা হয়েছে , এতদিন আমার মা রান্না করার সময় আমি আমার মাকে অনেক কম সাহায্য করতাম ও কি ভাবে রান্না করে এটাও কখনো খেয়াল করিনি , কিন্তু আজ কয়েকদিন যাবৎ আমি আমার মাকে রান্নায় অনেক বেশি সাহায্য করছি ও রেসিপির ছবি গুলো ধাপে ধাপে তুলছি ও কি ভাবে রান্না করে সেটাও আমার শিক্ষা হয়ে যাচ্ছে। আজকে আমি আপনাদের সাথে আমার এই পোস্ট এর মাধ্যমে শেয়ার করবো কি ভাবে আমি গরুর মাংস রেসিপি রান্না করলাম।
প্রথমে আমি এখানে দেড় কেজি গরুর মাংস নিলাম , যেহেতু বাসার মধ্যে আমি একটু বেশি গরুর মাংস খাই , তাই বাবা আমার জন্য আরো আধা কেজি গরুর মাংস বাড়িয়ে কিনে আনে , আপনারা আপনাদের অনুযায়ে গরুর মাংস নিতে পারেন , গরুর মাংস গুলি আমি পানি দিয়ে ভালো ভাবে ধুয়ে পরিষ্কার করে নিবো , যদি সম্ভব হয় তাহলে হালকা গরম পানি দিয়ে গরুর মাংস ধুয়ে নিবেন , তারপর চলে যাবো পরের ধাপে।
এখানে আমি নিয়েছি পেঁয়াজ কুঁচি , গরুর মাংসের মধ্যে পেঁয়াজ কুচি একটু বেশি লাগে , তাই আমি অনেক গুলো পেঁয়াজ কেটে টুকরো করে রাখলাম।
এখানে আমি গরুর মাংস পরিমাণ অনুযায়ী আদা বাটা ও রসুন বাটা তৈরী করলাম।
এটা হচ্ছে রাঁধুনি রেডিমিক্স মেজবানি গরুর মাংসের মসল্লা , এই মোসল্লার মধ্যে সব ধরণের উপাদান রয়েছে , আপনারা বাজারে যে কোনো দোকানে গেলে এই মসলার পেকেট পাবেন।
আমরা এখানে বড় প্যাকেট কিনে আনছি , সবটুকু মোসল্লার প্রয়োজন নেয় , আমরা অল্প পরিমান মসলা একটি বাটিতে নিয়ে অল্প পানি দিয়ে মসলা ভিজিয়ে রাখবো ও কিছুক্ষন পর ব্যবহার করবো , পানিতে ভিজিয়ে রাখলে মসলার ঘ্রান বেড়ে যাই ও তরকারিতে ঘ্রান বাড়াতে সাহায্য করে।
এখন গরুর মাংসের মধ্যে পেঁয়াজ কুচি , রসুন ডাটা , আদা বাটা , লবন , রাঁধুনি মসলা ,ও সরিষার তেল দিয়ে ভালো ভাবে মাখিয়ে নিলাম , আমরা জানি সরিষার তেল অনেক ব্যায় বহুল , কিন্তু আমরা তো আর সবসময় সরিষার তেল ব্যবহার করতে পারবো না , তাই মাঝে মাঝে তরকারির স্বাদ করে খাবার জন্য এই তেল ব্যবহার করতে হয়।
আমরা জানি গরুর মাংস রান্না করতে অনেক সময় লাগে , গরুর মাংস সিদ্ধ হয় অনেক দেরি করে , আর সিদ্ধ না হলে গরুর মাংস খাওয়া অনেক কষ্টকর হয়ে যায় , তাই মাংসের সাথে ২ তা টমেটো কেটে দিয়ে দিবেন অথবা পেঁপেও ব্যবহার করতে পারেন , এতে করে আপনার গরুর মাংস অনেক তারাতারি সিদ্ধ হতে সাহায্য করবে , আমি টমেটো দিয়েছ , ও কয়েকটা কাঁচামরিচ দিয়ে মিশিয়ে কিছুন রেখে দিবো।
কিছুক্ষন পর চুলায় বসিয়ে দিবেন , প্রথমে আগুনের তাপ একটু বেশি হলেও একটু পর আগুনের তাপ কমিয়ে দিবেন , না হলে পড়া লেগে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকবে।
হালকা তাপে গরুর মাংস হতে থাকে , ৫ মিনিট পর পর মাংস নাড়িয়ে ছাড়িয়ে দিবেন , ঝুল কমে গেলে পানি গরম করে আপনার পরিমান মতো পানি ঢেলে দিবেন।
রান্না করতে করতে হয়ে যাবে আমার প্রিয় গরুর মাংসের রেসিপি , এখন খাবার জন্য একদম প্রস্তুত। চুলা থেকে নামানোর আগে লবন টেস্ট করে নিবেন।
আজকের এই রেসিপি অনেক মজাদার ও সুস্বাদু হয়েচে , আপনারা হয়তো আমার দেয়া ছবিতে তরকারির কালার দেখেই বুজতে পারছেন , আমি সম্পূর্ণ রেসিপি আপনাদের সাথে খুব সুন্দর ভাবে উপস্থাপন করার চেষ্টা করেছি , আমি আশাকরি আপনারা আমার এই রেসিপি পছন্দ করবেন , আপনারা যারা আমার মতো গরুর মাংস পছন্দ করেন তারা আমাকে মন্তব্য করে জানাবেন , আর যদি কারো এই পোস্ট নিয়ে আর কিছু জানার থাকে তাহলে তারাও আমাকে মন্তব্য করে জানাতে পারেন। সবাই ভালো থাকবেন , সবাইকে অনেক ধন্যবাদ।