হ্যাল্লো বন্ধুরা!
আজ হাজির হয়েছি ভিন্ন এক টপিক নিয়ে। আশাকরছি আপনাদের ভালো লাগবে।
একাকিত্ব আশীর্বাদ নাকি প্যারা সে নিয়ে অনেক বিতর্ক আছে। তবে যুগে যুগে বহু মহান কাজের জন্য মানুষ একাকিত্বকে বেছে নিয়েছে। আর তা মানবজাতিকে করেছে সমৃদ্ধ।
এই চলমান মহামারীর কথাই ধরুন, নিউ নরমাল, অফিস ফ্রম হোম, কোয়ারেন্টাইনের মত আরো অনেক ডিস্কোর্স সামনে এনে মানুষকে ঘরবন্দি ও সংগনিরোধে উৎসাহ দেওয়া হয়েছে। আর এর ফলে কিছু মানুষ তাদের নিজেদের সৃজনশীলতা এবং প্রতিভা বিকাশে একটু ভিন্নভাবে ব্রতি হয়েছেন। আমার তাই মনে হয় আরকি। একটু বেশী অপ্টিমিস্টিক বলতে পারেন আমাকে। যাই হোক যা বলছিলাম, নিজের ঘরকে তারা বানিয়েছেন নিজের জগৎ। এই ছোট্ট ঘর থেকেই তারা কাজ করে চলেছেন নিরলসভাবে।
এমনি একজন সৃষ্টিশীল মানুষের এক কল্পিত ঘরের চিত্র আঁকতে চেষ্টা করেছি।
উপভোগ করুন......
এই একলা ঘর আমার দেশ
ভুলচুকে ভরা এই জীবনে
কল্পনায় বাঁধছি হাওয়া মহল।
এই শব্দের গাঁথুনী
কতক্ষন টিকে থাকবে জানিনা।
তাই যোগাযোগের সুযোগে
কখনো গেয়ে চলছি বেসুরা গান,
নয়ত গেলাসে ঢেলে পান করছি
নতুন বোতলের পুরনো সালাদ।
ঘরদেশের এককোনে পড়ে আছে
পড়তে থাকা নতুন কোন বই।
জানালার পাশে কাজের টেবিলটা
হব হব করে হচ্ছেনা পরিপাটি।
আকার ক্যানভাসে
আধো আধো উঁকি দিচ্ছে কল্পনার রঙ।
জানালার পাশে কাল দেখেছি ঝুম ঝুম বৃষ্টি।
সপ্নের সেই আবছা নীল রং ঘুমাতে দেয়নি পরশু।
যে রঙটা সপ্নের রঙ
তা ক্যানভাসে অর্ধসমাপ্তই থেকে যাচ্ছে।
এদিকে প্রকাশকের চাপটা এখন আগের মত নাই।
কি আর করবে বিক্রি গ্যাছে কমে।
তবে তা আমাকে প্রভাবিত করে নাই।
আমার শিল্পের আনন্দ শুধুই আমার জন্য।
নিজের আনন্দে,আমি মেতে উঠি ভাঙা গড়ার খেলায়।
শ্মশানচারী সন্যাসীটা;যখন আমার উপরে ভর করে,
তখন চলে আমার কলম আর তুলি।
এই ছোট্ট ঘরটা হয়ে যায় মহাবিশ্ব বিশাল।
আমার জানালার পাশে চলে
মানুষ জীবনের কার্নিভালেস্কু!
তাই বলি,
এই একলা ঘর আমার দেশ।
এই ঘরেই উড়ে বেড়ায়
আমার কল্পনার ডানা মেলা পাখিরা;
গান গায়, গল্প শোনায়।
আমায় যোগায় জীবন সুধার স্বাদ।
আমার আনন্দেই বাঁচায় আমায়!
সমাপ্ত