[তবে তাই হোক.....!]

নতুন কিছু করার প্রত্যয় সব সময় উৎসাহী আর সূদুরচিন্তক মানুষদের কাছে সর্বাধিক গুরুত্ব পেয়ে আসছে। যুগে যুগে মানুষেরা তাদের ভাগ্য পরিবর্তন আর ভবিষ্যৎ বিনির্মানে ব্রতি হয়েছে এই মূলমন্ত্রকে ধারন করে। আর এর জন্য সবচেয়ে যেটা বড় ভূমিকা রেখেছে তা হলো সঠিক পরিকল্পনা এবং তার বাস্তবায়ন চেষ্টা আথবা বলতে পারেন তার জন্য নিরলসভাবে কাজ করে যাওয়া।

fifggdgff3_103252848.jpg

কোন কাজ করার আগে সাধারণভাবে আমরা তার সাতপাঁচ একটু হলেও ভেবে নিই। কি করতে যাচ্ছি, অথবা এর ফলাফল কি হতে পারে তার ধারনা থাকাটা ভালো বই খারাপ কিছু নয়।

তবে কোন প্লান না থকাটাও একদম অবান্তর নত। না থাকল প্লান, তো কাজ করে যেতে তো অসুবিধা নাই। তবে ফলাফল যাই হোক না কেন, আগে তো চাই প্লানটাকে বাস্তবায়নের জন্য কাজ শুরু করা। আর এই শুরুর শুরুটা নিয়েই বাধে যত গোল।

কিভাবে শুরু করব? কিভাবে শুরু করা উচিৎ? কোথা থেকে শুরু করব? সফলতা আসবে তো? ঠিক দিকেই কি এগোচ্ছি? ইত্যাদি হাজারো প্রশ্নের দোলচালে না দুলে, এর জন্য চাই দৃড় সংকল্প আর স্পৃহা। আজ সেদিকে একটু নজর ফেরাতেই এ লেখা। তবে চলুন দেখা যাক..

কোন কাজ শুরু করা যতটা না সহজ তার চেয়ে সেটা কন্টিনিউ করা বহুত কঠিন । অথবা তালেগোলে সে কাজকে দেরী করে শুরু করা সেটা তো আলসে আর প্রোক্যাস্টিনেটরদের এক শৈল্পিক গুন।

আজ করব, কাল করব, এইত শুরু করছি, হেন ঝামেলা, তেন ঝামেলা ইত্যাদি ইত্যাদি কারণ অথবা অকারনের বেড়াজালে আমরা সহজেই এড়িয়ে চলে যাই গুরুত্বপূর্ণ অনেক কাজ। যেটা খুব ভালো ফলাফল বয়ে আনে না নিশ্চিত।

কিন্তু প্রজ্ঞাবানরা এ সুযোগের সঠিক ব্যবহার করে অন্যদের থেকে এগিয়ে যান। তাদের কাছে বুদ্ধিদীপ্ত কোন কাজের শুরুটা যেন তড়িৎ গতিতেই হয়ে থাকে।

প্লানিং আর কাজের ধরনের উপর এর অনেকটা নির্ভর করলেও এখানে আমার মতে যেটা সবচেয়ে মূখ্য হয়ে দাঁড়ায় সেটা হল ইচ্ছা শক্তি। একবার বলেই দেখুননা, তবে তাই হোক! আর শুরু করে দিন। দেখবেন অনেক সমস্যা আপনা থেকেই ফিকে হয়ে যাচ্ছে। আর আপনার কাঙ্খিত কাজটাও এগিয়ে চলছে তরতর করে।

এটা সাফল্যের মূলমন্ত্র নাও হতে পারে, তবে ইটা যে সম্যক সহায়ক ভূমিকা পালন করে তা অনুধাবন করা আমাদের জন্য কঠিন নয়। কাজ করার উদ্দিপনা জোগাতে সেল্ফ মোটিভেশনের কোন বিকল্প নাই। আপনিই পারেন আপনাকে দিয়ে শুরুটা করাতে, কাজটা করাতে, পরিকল্পনা থাক বা নাই থাক; সেটা ততটা মূখ্য নয়, বরং শুরু করা এবং সেটা চালিয়ে যাওয়াই মূখ্য।

এখানে একটা গল্প বলা যেতে পারে। এক লোক গেছে চাকরির ইন্টারভিউ দিতে। তাকে প্রশ্ন করা হল, বলুন মোল্লা সাহেব; জালালি কবুতরের রক্তে হিমোগ্লোবিন এর পারসেন্টেজ কত? মোল্লা সাহেব শান্তভাবে ভেবে চিন্তে উত্তর দিলেন, ভালোই। আবার প্রশ্ন করা হল, বলুন ৭১২ সালে মাদাগাস্কারে যে বন্যা হয়েছিল তার ক্ষয়ক্ষতি কেমন? মোল্লা সাহেব এবারো ধীর স্থির ভাবে বললেন, ক্ষয়ক্ষতির পরিমান ব্যাপক। এরকমই আজগুবি আরো দু'চারটা প্রশ্ন করা হল। সবগুলোরই মোটামুটি এরকমই উত্তর দিলেন মোল্লা সাহেব। পরিক্ষকরা এবার বললেন, এয়েল মোল্লা সাহেব, আপনি একটা প্রশ্নেরও সঠিক জবাব দিতে পারেননি। কিন্তু আমরা আপনার মধ্যে একটা গুন দেখেছি। আপনি না পারলেও ছেড়ে কথা বলেননা। চমতকার! আমরা আসলে এরকমই একজন লোককে খুঁজছি। আপনি কালই জায়েন করতে পারেন।

আজকের ইস্যুর সাথে গল্পের মিল থাকুক বা না থাকুক, মোল্লা সাহেবের চেষ্টা আর প্রত্যুতপন্নমতিতা আমাকে মুগ্ধ করেছে। বাকী মিলটা আপনার খুঁজে নেবার পালা। তবে যাই হোক, আশা করব গল্পটা আপনার ভালো লেগেছে।

একবার না পারিলে দেখ শতবার! পুরাতন এই প্রবাদ আজকালের এই সুপার ফাস্ট দুনিয়ায় কতটা যৌক্তিক তা ভেবে দেখা দরকার। আমার মনে হয় শতবার করে দেখার সুযোগ হয়ত সবসময় নাও পাওয়া যেতে পারে। তাই বলি, আসুন নেমে পড়ি আর শক্ত মনোবলকে ধারন করে নিজের কাজকে আর একটু জিনিয়ে নেওয়া বোধহয় বুদ্ধিমানের মত কাজ। কি বলেন?

তবে তাই হোক...
আর কি?

ধন্যবাদ!

H2
H3
H4
3 columns
2 columns
1 column
2 Comments
Ecency