শুভ সকাল বন্ধুরা। আশাকরি এমন একটা রৌদ্রজ্বল দিনে সবার সকাল টা ভালো কেটেছে। আজ আমি বাংলাদেশের প্রত্নতাত্ত্বিক নিদর্শনের একটি অন্যতম বড় উদাহরণ, জোড় বাংলা মন্দির নিয়ে পোষ্ট করবো। আশাকরি পোস্টটি আপনাদের ভালো লাগবে।
বাংলাদেশ তথা পুরো ভারতীয় উপমহাদেশই নানা সময়ে নানা বিদেশী শাষকের লক্ষ্যবস্তু ছিলো। তারা বাংলা অঞ্চলের যেমন অজস্র সম্পদ লুট করেছে তেমনি তাদের সুবিধার জন্য হলেও বেশ কিছু স্থাপনা তৈরি করে গিয়েছে, যেগুলো আজো সগৌরবে দাঁড়িয়ে আছে। তাদের পাশাপাশি ততকালীন সমাজের উচ্চবর্গের মানুষের বিভিন্ন ভাবে ধর্মীয় এবং শিক্ষা প্রচারের জন্য অনেক প্রতিষ্ঠান ও স্থাপনা গড়ে তুলেছিলো। পাবনায় অবস্থিত জোড় বাংলা মন্দির তেমনি একটি প্রত্নতাত্ত্বিক নিদর্শন।
পাবনা সদর উপজেলার রাধানগরে অবস্থিত মন্দির টি খনন করার সম্য সেখানে কোন শিলালিপি পাওয়া না যাওয়ার কারণে মন্দিরটির সঠিক ইতিহাস জানা সম্ভব হয় না। প্রচলিত একটি তথ্যমতে, মন্দিরটি নির্মাণ করেছিলেন ব্রজমোহন ক্রোড়ী নামক একজন ব্যক্তি। তিনি মুর্শিদাবাদ নবাবের তহশীলদার ছিলেন।
মন্দিরটি ইট নির্মিত এবং এর দেয়ালে খঁচিত রয়েছে অসংখ্য ফলক। যেগুলো ততকালীন সমাজের প্রতীক বহন করে। এছাড়াও মন্দিরটি থেকে ১৮ শতকের জীবনধারা সম্পর্কে ধারণা পাওয়া যায়।
সময় পেলে আপনারা ঘুরে আসতে পারেন বিখ্যাত এই প্রত্নতাত্ত্বিক নিদর্শন থেকে।
এছাড়াও পাবনা অঞ্চলে রয়েছে আরো বেশ কিছু দর্শনীয় স্থান যেগুলো পাবনা জেলাকে পর্যটন কেন্দ্র করে গড়ে তুলতে সক্ষম।
আশাকরি আমার পোস্টটি আপনাদের কৌতুহলী মনে নতুন একটি চিন্তা যোগ করতে সক্ষম হয়েছে। পোস্ট ভালো লাগলে ভোট এবং আপনাদের মুল্যবান মতামত জানাতে ভুলবেন না।