Image
আর একটি দুঃখজনক ঘটনা ঘটে গেছে মধ্যপ্রদেশের ইন্দোরে।এটি দেশের প্রশাসনের দুর্নীতির ও সামাজিক মূল্যবোধের অবক্ষয়ের চূড়ান্ত উদাহরণ।ঘুষ একটি সামাজিক বাধ্যি।আর মানুষের নিরাপত্তা প্রদানকারী যদি ঘুষ খোর হয় তাহলে নিঃসন্দেহে সমাজ ও দেশের পরিস্থিতি খুবই হতাশাজনক।অবিলম্বে এই বাধ্যিকে দূর করা উচিত।
মহামারির বিরুদ্ধে লড়াইয়ের জন্য কিছুদিন আগেও ভারত জুড়ে ছিল complete lockdown।এই অবস্থায় স্বাভাবিক ভাবে ভেঙে পড়েছিল দেশের সামগ্রিক অর্থনৈতিক ব্যবস্থা।অনেক গরীব পরিবার পড়ে ছিল ভয়াবহ আর্থিক সংকটে।দু মুঠো ভাতের জন্য রাস্তায় জীবিকা শুরু করেছিল অনেক বৃদ্ধ ও শিশুরা।আজকের গল্প এমনিই এক বাচ্চা ছেলেকে নিয়ে।
ছেলেটির নাম সুন্দর।আর চার পাঁচ টা ছেলের মতো তার ও দুচোখে অনেক স্বপ্ন।সেও বড় হয়ে মা বাবার কষ্ট দূর করবে।কিন্তু ঈশ্বর সহায় নয়।অভাব অনটন আর সংগ্রামী এই জীবন যাপনে কঠিন সংকট হয়ে দাঁড়ালো বিশ্বব্যাপী এই ভয়াবহ মহামারী করোনা।মা বাবার কাজ বন্ধ হয়ে গেল।দুঃচিন্তা করে দুজনেই শয্যাশয়ী।কিন্তু ঘরে নেই খাবার।বাঁচার জন্য চাই নূন্যতম খাবার।তাই সেই খাবারের অর্থ জোগাড় করতে রাস্তায় ভ্যান নিয়ে ব্যবসা শুরু করলো বছর ১৭ এর ছেলেটি।যে দুচোখে অনেক রঙিন সপ্ন ঘুরে বেড়াতো সেখানে আজ কেবল উদ্বিগ্নতা আর অনিশ্চয়তা।
Image
ভ্যান করে ডিম বিক্রি শুরু করলো ছেলেটি।এই ব্যবসা করে যা সামান্য অর্থ লাভ হতো তা দিয়ে কোনো রকমে ৩জনের আধা পেট খাওয়া চলছিল।কিছুদিন এভাবেই নির্বিঘ্নে কেটে গেল।কিন্তু একদিন শুরু হলো আর এক নতুন অত্যাচার।civic police এর দুজন হাবিলদার এসে তার কাছে ব্যবসা করার জন্য চাইলো ১০০ টাকা ঘুষ।এই অভাবী ছেলেটি ও তাদের রক্ত চোষা থেকে রেহাই পেল না ।কিন্তু ছেলেটি এই অভাবের বাজারে কি করে ১০০ টাকা দেবে।সে তার অপারগতা ওই দুজন সিভিক পুলিশ কে জানালো।কিন্তু তারা ঘুষ না নিয়ে যেতেই চাইলো না।আর ছেলেটি ও টাকার দেয়ার সাধ্য নেই।অবশেষে রেগে ওই সিভিক পুলিশ দুটি ছেলেটির সব ডিম রাস্তায় ভেঙে ফেলে দিলো।
কথায় আছে যার কেউ নেই তার ঈশ্বর আছে।তেমনি ছেলেটির ও ঈশ্বর ছিল।এই ঘটনা কেউ একজন ভিডিও করে সোশ্যাল মিডিয়ায় ছেড়ে দেয়।যা মুহূর্তের মধ্যে viral হয়ে যাবে।নড়ে বসে দেশের সরকার ও সাধারণ মানুষ।সবাই এই অমানবিক কাজের নিন্দা করে।
সরকার রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব ও সাধারণ মানুষ তার পাশে দাঁড়ায়।তাকে আর্থিক সহায়তা করে এবং কলেজে ভর্তি করার প্রতিশ্রুতি ও দেয়।