This content was deleted by the author. You can see it from Blockchain History logs.

love story........

আজ পিয়ালের বিয়ে, সবাই খুশী হলেও পিয়াল হতে পারে নি। তবুও মুখে মিথ্যা হাসি নিয়ে তিনবার কবুল বলেছে।অনেক বন্ধুরাই উপস্থিত সেখানে, তাদের জন্য আলাদা বাজেট রাখার কথা ছিলো পিয়ালের,যেমনটা বলা চেয়েছিলো মিলা।

image

কিন্তু বাজেট রাখা সত্যেও তার বন্ধুরা উপভোগ করতে পারে নি ব্যাপারটা।পিয়ালের পরিবারের কেউ কেউ মিলাকে নিয়ে ব্যস্ত, আবার কেউ অন্যান্য কাজে মন দিয়েছে। মিলা,মিলা পিয়ালের কিছুক্ষন আগে বিবাহ করা স্ত্রী।চারদিকে একটা বিয়ে বিয়ে ভাব।আসলেই কি পিয়াল বিয়ে করেছে? সবার মুখেই হাসি,কিন্তু তা কি আদৌ সুখের হাসি? পিয়াল একটা ঘোরের মধ্যে আছে,কিছুটা নেশা করার পরে যা হয়।সবার কথা-বার্তা শুনছে, দেখছে কিন্তু কিছুই বুঝে উঠতে পারছে না। পিয়ালের বন্ধু রাসেদ এসে ওর কানে কানে বলে গেলো - দোস্ত, মন খারাপ করে থাকিস না, মিলাকে কিছু বুঝতে দিস না।
কথাটা শুনে পিয়াল রাসেদের মুখের দিকে তাকিয়ে থাকলো। রাসেদ মুচকি একটা হাসি দিয়ে চলে গেলো। হঠাতই মিলার কন্ঠে পিয়াল নিজেকে নিজের মধ্যে আবিস্কার করলো। মিলা সবার সাথে কতো হাসি খুশী কথা বলছে। হয়তো আর কিছুক্ষন পরে এই হাসিটাকেই সবাই সব থেকে বেশি মিস করবে।

image

তারিখটা ছিলো ১৫ই জুন ২০১৫,
পিয়াল ভার্সিটির সামনে ওর বন্ধুদের সাথে দাঁড়িয়ে,নতুন ছাত্রীদের দেখে পছন্দ করে তাদেরকে প্রেম নিবেদনের আশায়।পিয়াল এবং ওর বন্ধুদের বড়-ভাই হিসেবে এটা ওদের কর্তব্য (ওরা মনে করে)।পিয়াল ভার্সিটির মধ্যকার মেয়েদের কাছে সব থেকে ঘৃণিত ব্যক্তি।আর ছেলেদের কাছে রোমিও।তার জুলিয়েট কোনটা বা কে? তা বুঝে ওঠা কঠিন। সকালে এক জুলিয়েটের সাথে,বিকালে আরেক জুলিয়েটের সাথে।
যাই-হোক,ভার্সিটির গেইটের সামনে দাঁড়িয়ে পিয়াল আর ওর বন্ধুরা নতুন ছাত্র-ছাত্রীদের সাথে ইয়ার্কি -ফাইজলামি করছিলো।হঠাৎ করেই শাড়ী পরা একটা মেয়ের আগমন ভার্সিটির সামনে।মেয়েটাকে আগে কখনই দেখে নি পিয়াল।ওর ভার্সিটি লাইফে কাউকে শাড়ী পরে আসতে দেখে নি, তাও আবার প্রথম দিনে। হ্যা পিয়ালের চোখ ওখানেই আটকে যায়। শুধু পিয়াল না, তার সহচরদেরও।ওদের সামনে থেকে একটা লাল পরী চলে গেলো। বাংলা সিনেমা একদম।
পিয়াল ক্লাসে চলে যায়।পিয়ালের ভাবনা চিন্তা এখনো অই মেয়ের প্রতি যায় নি যদিও। তার ভাবনাটা একটু দেখে নেয়া যাক। পিয়ালের ভাবনাটা একটু অন্য টাইপের, সে চিন্তা করছিলো তার অন্য গার্লফ্রেন্ডদেরকেও শাড়ী পরালেও অই একই রকম লাগবে। পিয়ালের মনে এতোটুকুও জায়গা করে নিতে পারে নি মেয়েটি যদিও। যখন দেখছিলো শুধু অই সময়টুকুই।
ক্লাস শেষে পিয়াল আর ওর বন্ধু রুমি ক্যাম্পাসে হাটছে। রুমি তার গার্লফ্রেন্ডের সাথে ফোনে কথা বলছে।রুমিও কিছুটা পিয়ালের মতই। সে তার গার্লফ্রেন্ডের সাথে ব্রেকাপ করতেছে।হয়তো রুমিকে ছাড়তে চাচ্ছে না ওর প্রেমিকা। যদিও পিয়ালের সাথে এমন কোনো ঘটনাই ঘটে নি। ব্রেকাপের কথা বলার পর হয় আরেকটা সুযোগ চেয়েছে, নয়তো তারাও ব্রেকাপ বলে ব্রেকাপ করে দিয়েছে।রুমী বেশ কিছুক্ষন আজেবাজে ভাষায় কথা বললো ওর গার্লফ্রেন্ডের সাথে। পিয়াল ওর সাথে হাটছে আর শুনছে।

image
.

প্রায় একঘন্টা পর রুমী ফোনটা কান থেকে নামালো।
রুমি- উফফ, কি জ্বালা এই মাইয়া তো এক্কেবারেই নাছোড়বান্দা। অনেক কষ্টে ছাড়াইলাম।
পিয়াল - অনেক ভালোবাসে মনে হয় তোরে।
-আরেহ ধুরো,বাদ দে তো। তা বাবা তুমি হঠাৎ ভালোবাসা নিয়া পরলা ক্যান? বাংলা নাটক কি বেশি দেখো?
-আরেহনা না, এমনিই বললাম। মজা করলাম আর কি।